দক্ষিণ কোরিয়ায় স্কুলে ফোন নিষিদ্ধ নতুন আইন প্রণীত হয়েছে। আইনটি ২০২৬ সালের মার্চ থেকে কার্যকর হবে।
এই পদক্ষেপের মূল উদ্দেশ্য হলো ফোন আসক্তি কমানো। ফলে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা ও সামাজিক বিকাশে বেশি মনোযোগ দিতে পারবে। তবে শিক্ষক, অভিভাবক ও আইন প্রণেতারা বলছেন, অনেক সময় শিক্ষার্থীরা ফোনে ব্যয় করছে যা পড়াশোনায় ব্যবহার করা উচিত।

দক্ষিণ কোরিয়ার অধিকাংশ স্কুল ইতিমধ্যেই ফোন ব্যবহারে সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছে। তবুও, নতুন আইন পুরো দেশব্যাপী নিষেধাজ্ঞা স্থাপন করছে। ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, ইতালি, নেদারল্যান্ড ও চীনেও অনুরূপ নিয়ম আছে, তবে সাধারণত সীমিত বয়স বা স্কুলের জন্য (BBC)।
আইন অনুযায়ী শিক্ষকরা স্কুলে ফোন ব্যবহারের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারবেন। পাশাপাশি, স্কুলগুলোকে শিক্ষার্থীদের স্মার্ট ডিভাইস সঠিকভাবে ব্যবহারের শিক্ষা দিতে বলা হয়েছে। জরুরি পরিস্থিতিতে এবং বিশেষ শিক্ষার প্রয়োজন হলে ফোন ব্যবহারের অনুমতি থাকবে।
কিছু শিক্ষার্থী আইন কার্যকর হবে কিনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। ১৮ বছর বয়সী সেও মিন-জুন বলেন, “শিক্ষার্থীরা এখনও যাত্রাপথে বা রাতে ফোন ব্যবহার করছে। তাই শুধুমাত্র ক্লাসে ফোন বন্ধ করলেই সমস্যা সমাধান হবে না।”
দক্ষিণ কোরিয়ার সুনেওং (Suneung) কলেজ ভর্তি পরীক্ষা অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক। শিক্ষার্থীরা প্রাইভেট টিউশনি ও হোমওয়ার্কে অনেক সময় ব্যয় করে। এদিকে, অভিভাবকরা সামাজিক মিডিয়া এবং অনলাইন বুলিং নিয়েও উদ্বিগ্ন।
আইনের সমর্থকরা বলছেন, এটি শিক্ষকদের কাছে আইনগত ভিত্তি দেয়। অন্যদিকে, সমালোচকরা মনে করেন, এটি আসল ফোন আসক্তি কমাচ্ছে না এবং শিক্ষার্থীদের স্বাধীনতা সীমিত করছে (AP News)।
যদিও ফোন ব্যবহার শুধুমাত্র ক্লাস চলাকালীন নিষিদ্ধ, আইন শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসম্মত ব্যবহার শেখানোর গুরুত্বও জোর দিয়ে নির্দেশ দেয়।