৫ আগস্টের রাজনৈতিক অস্থিরতার পর দক্ষিণপন্থী ও ইসলামপন্থী শক্তির উত্থান আগামী জাতীয় নির্বাচনকে নতুন মাত্রা দিয়েছে। বিশেষ করে, ইসলামি দলগুলোর ‘এক বাক্সে ভোট আনার’ প্রচেষ্টা বিএনপিকে ভাবনায় ফেলেছে। আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতিতে এ শক্তিগুলো বিএনপির প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠতে পারে—এমন আশঙ্কা থেকেই দলটি পাল্টা কৌশল নিয়েছে।
এর অংশ হিসেবে হেফাজতে ইসলাম আমির মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী, হাটহাজারী মাদ্রাসার শায়খুল হাদিস, শর্ষিনা দরবার শরিফের পীরসহ প্রভাবশালী আলেম–ওলামাদের সঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও সালাহউদ্দিন আহমদ সাক্ষাৎ করেছেন। বিএনপির নেতারা তাঁদের কাছে দোয়া, সমর্থন ও সহযোগিতা চেয়েছেন।

এদিকে চরমোনাই পীরের নেতৃত্বে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ কয়েকটি কওমি ঘরানার দল ইসলামপন্থীদের নির্বাচনী সমঝোতায় যুক্ত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। জামায়াতে ইসলামীর অংশগ্রহণ নিয়েও আলোচনা রয়েছে। তবে বিএনপি সূত্র বলছে, দলটি এবার জামায়াত ছাড়া অন্যান্য ইসলামি শক্তির সঙ্গে সখ্য গড়তে বেশি আগ্রহী।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “আমরা ইসলামি মূল্যবোধে বিশ্বাসী। ইসলামি দলগুলোর সঙ্গে ঐক্য গড়ে তোলা জরুরি, যাতে মনে না হয় বিএনপি ইসলামপন্থীদের প্রতিপক্ষ।”
বিশ্লেষকদের মতে, ইসলামপন্থীদের ভোট একত্র হলে তারা বিএনপির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠতে পারে। তাই বিএনপি এখন একদিকে ইসলামি দল ও আলেমদের কাছ থেকে সমর্থন চাইছে, অন্যদিকে জাতীয় ভোটের মাঠে নতুন সমীকরণ তৈরির চেষ্টা করছে।