পূর্বঘোষিত ‘লংমার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে শাহবাগ থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় পুলিশ ও প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
শাহবাগে প্রকৌশল শিক্ষার্থী পুলিশের ধাওয়া: দাবিসমূহ ও পরিস্থিতির বিশ্লেষণ
বুধবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে শিক্ষার্থীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। এ সময় কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়। তবে কোনো গুরুতর আঘাতের খবর পাওয়া যায়নি।
এর আগে, শিক্ষার্থীরা রাজধানীর শাহবাগে জড়ো হয়ে তিন দফা দাবিতে স্লোগান দিয়ে সড়ক অবরোধ করেছিলেন। তারা দাবি মেনে প্রজ্ঞাপন জারির জন্য দুপুর ১টার মধ্যে আল্টিমেটাম দেন, অন্যথায় সচিবালয় ঘেরাওয়ের হুমকি দেন।

শিক্ষার্থীদের স্লোগানগুলোর মধ্যে ছিল:
- “আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম”
- “কোটা না মেধায়, মেধায় মেধায়”
- “সবার মুখে এক বয়ান, ডিপ্লোমা টেকনিশিয়ান”
- “অবৈধ ডিপ্লোমা কোটা অবসান চাই”
- “কোটার নামে অবিচার বন্ধ করো”
- “কোটা প্রথা ভেঙে দাও, মেধাবিদের অধিকার ফিরিয়ে দাও”
শিক্ষার্থীদের দাবিসমূহ:
১. ইঞ্জিনিয়ারিং ৯ম গ্রেড বা সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদে প্রবেশের জন্য সকলকে নিয়োগ পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে, ন্যূনতম বিএসসি ডিগ্রি থাকতে হবে। কোটার মাধ্যমে কোনো পদোন্নতি দেওয়া যাবে না।
২. টেকনিক্যাল ১০ম গ্রেড বা উপ-সহকারী প্রকৌশলী বা সমমান পদের নিয়োগ পরীক্ষা উভয় ডিপ্লোমা ও বিএসসি ডিগ্রিধারীর জন্য উন্মুক্ত হতে হবে।
৩. বিএসসি ডিগ্রি ছাড়া প্রকৌশলী পদবি ব্যবহারকারীদের বিষয়ে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে। নন-এক্রিডিটেড বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সগুলোকে IEB-BAETE অ্যাক্রিডেশনের আওতায় আনা হবে।
শাহবাগে শিক্ষার্থীদের এই পদক্ষেপ এবং পুলিশের কার্যক্রমের ফলে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ অংশে স্বল্প সময়ের জন্য যানজট সৃষ্টি হলেও পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসে।
আরও পড়ুন
উত্তর চৌম্বক মেরু সাইবেরিয়ার দিকে সরে যাচ্ছে: পড়ুন এখানে
বুয়েট শিক্ষার্থীদের শাহবাগ বিক্ষোভ: পড়ুন এখানে
মোদি-মার্কিন শুল্ক প্রতিক্রিয়া: পড়ুন এখানে