ইলন মাস্কের মতে, আগামী দুই দশকের মধ্যেই মঙ্গলে এক মিলিয়ন মানুষের স্থায়ী বসবাস সম্ভব হবে। যদিও নাসা জানিয়েছে, ২০৪০ সালের আগে তারা লাল গ্রহে মানুষ পাঠাতে পারবে না, মাস্ক তবুও নিজের পরিকল্পনা নিয়ে আশাবাদী। তার ভাষায়, “মানব সভ্যতা এখন শক্তিশালী অবস্থানে আছে, তাই আমাদের এখনই বহুপ্ল্যানেটারি হওয়া উচিত।”
এই স্বপ্ন পূরণে মাস্কের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে কাজ করছে। তার টানেল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান The Boring Company মঙ্গলের মাটির নিচে বাসযোগ্য আশ্রয় তৈরির প্রযুক্তি উন্নয়নে ব্যস্ত। Tesla নির্মাণ করছে এমন যানবাহন, যা মঙ্গলের প্রতিকূল পরিবেশে চলতে সক্ষম হবে। এমনকি X (সাবেক টুইটার) প্ল্যাটফর্মকেও তিনি ভবিষ্যতের মঙ্গল সমাজে গণতন্ত্রের কার্যকারিতা পরীক্ষা করার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে চান।
মূল যাত্রাপথ হবে SpaceX-এর তৈরি Starship রকেট। প্রতি দুই বছর অন্তর ১০০ জন যাত্রী ও প্রয়োজনীয় রসদ নিয়ে মঙ্গলে যাওয়া-আসা করবে এই রকেট। ভবিষ্যতের স্টারশিপে থাকবে আবাসনের সুবিধা, বিনোদন কেন্দ্র, এমনকি সিনেমা হলও।
মাস্ক চান মঙ্গলের শহরগুলো শুধু কার্যকরী নয়, দেখতে হোক মনোমুগ্ধকরও। পরিকল্পনা অনুযায়ী, শহরের কেন্দ্রে থাকবে একটি বিশাল স্বচ্ছ গম্বুজ, যার চারপাশে ছোট ছোট গম্বুজে মানুষ, গ্রীনহাউস, সৌর প্যানেলসহ অন্যান্য অবকাঠামো থাকবে। পাশাপাশি, প্রাণী ও উদ্ভিদ নিয়েও মঙ্গলে পাড়ি জমানোর পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে সেখানে একটি পূর্ণাঙ্গ বাস্তুতন্ত্র গড়ে তোলা যায়।
যদিও এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সহজ নয় এবং অনেকে মাস্কের নির্ধারিত সময়সূচি নিয়ে সন্দিহান, তবুও মাস্ক আত্মবিশ্বাসী। তার দাবি—“আগামী ৩০ বছরের মধ্যে মানব সভ্যতা নিরাপদ থাকবে, কারণ তখন মঙ্গলে আমাদের একটি সমৃদ্ধ শহর দাঁড়িয়ে যাবে।”