বৃহস্পতিবার, আগস্ট ২১, ২০২৫
- বিজ্ঞাপন-
Good News Global
Homeবিশেষ খবরভারতে বাঙালিদের নির্যাতনের পেছনের কারণ ও বাস্তবতা
Ads Space

ভারতে বাঙালিদের নির্যাতনের পেছনের কারণ ও বাস্তবতা

ভারতে বাঙালিদের নির্যাতনের পেছনের কারণ ও বাস্তবতা

ভূমিকা

ভারতের বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক ও ভাষাগত চিত্রে বাংলা ভাষা ও বাঙালি পরিচয় একটি প্রাচীন এবং গৌরবময় অংশ। প্রায় ১০ কোটি মানুষ ভারতেই বাংলা ভাষায় কথা বলেন, যা সংখ্যার বিচারে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মাতৃভাষা। পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা এবং অসমের কিছু অংশে এটি সরকারি ভাষার মর্যাদা পেয়েছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এই ভাষা ও এর ব্যবহারকারীদের নিয়ে বিতর্ক এবং রাজনৈতিক উত্তেজনা নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে।

দিল্লি পুলিশের একটি নোটিশে বাংলা ভাষাকে “বাংলাদেশি ভাষা” হিসেবে উল্লেখ করার পর থেকেই দেশজুড়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব পর্যন্ত এই ঘটনাকে অপমানজনক এবং সাংবিধানিকভাবে অগ্রহণযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন। বিরোধীরা অভিযোগ তুলছে, এই ধরনের শব্দচয়ন কেবল একটি ভুল নয়, বরং এটি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা একটি মনোভাবের প্রতিফলন—যেখানে ভারতের মূল ভূখণ্ডে বাঙালিদের প্রায়ই ‘বহিরাগত’ হিসেবে দেখা হয়।

এই ঘটনাটি হঠাৎ করে ঘটেনি। এর শিকড় রয়েছে কয়েক দশক ধরে গড়ে ওঠা সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে—যেখানে ভাষা, ধর্ম, এবং আঞ্চলিক পরিচয়কে কেন্দ্র করে বাঙালিদের বিরুদ্ধে নানা সময়ে বৈষম্যের অভিযোগ উঠেছে।

বাংলা ভাষা ও পরিচয় বিতর্ক: দিল্লি পুলিশের ‘বাংলাদেশি ভাষা’ ইস্যু

২০২৫ সালের আগস্টের প্রথম সপ্তাহে দিল্লি পুলিশের একটি অফিসিয়াল নোটিশে অভিযুক্তের বক্তব্য অনুবাদের জন্য ‘বাংলাদেশি ভাষা’ জানা ব্যক্তির সহায়তা চাওয়া হয়। নোটিশে “Bangladeshi language” শব্দগুচ্ছ ব্যবহারের পরপরই সামাজিক মাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনাকে “scandalous, anti-national and unconstitutional” বলে আখ্যা দেন এবং কেন্দ্রীয় সরকার ও দিল্লি পুলিশের কাছ থেকে প্রকাশ্যে ক্ষমা প্রার্থনা দাবি করেন।

তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মন্তব্য করেন, “There is no language called ‘Bangladeshi’. The language is Bangla or Bengali, spoken by millions in India and around the world.” তিনি অভিযোগ করেন, এই ধরনের শব্দচয়ন শুধু অজ্ঞতার পরিচয় নয়, বরং এটি একটি উদ্দেশ্যমূলক অপমান, যা বাঙালি জনগোষ্ঠীকে ‘বিদেশি’ হিসেবে উপস্থাপন করে।

সামাজিক মাধ্যমেও সাংস্কৃতিক ও সাহিত্য অঙ্গনের বহু মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। চলচ্চিত্র পরিচালক সৃজিত মুখার্জি টুইট করে লিখেন, “That’s not Bangladeshi language, morons, that’s Bangla or Bengali.” গায়ক সুরজিৎ চ্যাটার্জি মন্তব্য করেন, “Exactly the kind of ignorance that fuels prejudice against Bengalis.”

এ ঘটনার প্রতিবাদে কলকাতা ও দিল্লিতে বিক্ষোভ মিছিল হয়। মোহনবাগান ফুটবল ক্লাবের সমর্থকেরা একটি ম্যাচে বিশাল ব্যানার তুলে বাংলা ভাষা ও পরিচয়ের পক্ষে স্লোগান দেন। দুর্গাপূজার প্যান্ডালগুলিতেও এই ইস্যুতে প্রতিবাদী থিম দেখা যায়—যেখানে ‘ভাষা সন্ত্রাস’-এর বিরুদ্ধে শিল্প-প্রতিবাদ গড়ে ওঠে।

এই বিতর্ক ভারতীয় রাজনীতিতে নতুন কিছু নয়, কিন্তু এটি বাঙালি পরিচয়ের প্রশ্নকে আবারও জাতীয় আলোচনায় ফিরিয়ে এনেছে।

ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট: স্বাধীনতার পর থেকে ভারতের মূল ভূখণ্ডে বাঙালিদের প্রতি মনোভাব, আসাম আন্দোলন, নাগরিকপঞ্জি (NRC) ইস্যু

ভারতে বাঙালিদের ইতিহাস বহুস্তরীয়। স্বাধীনতার পর ১৯৪৭ সালের দেশভাগ এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ—দুই সময়েই বিপুল সংখ্যক শরণার্থী পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ) থেকে ভারতে প্রবেশ করে। এদের বেশিরভাগই পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ও অসমে বসতি স্থাপন করেন। এই অভিবাসন দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল।

আসাম আন্দোলন (১৯৭৯–১৯৮৫)
আসামে স্থানীয় আসামিয়া জাতীয়তাবাদীরা অভিযোগ করেন, অবৈধ বাঙালি অভিবাসীরা তাঁদের ভূমি, ভাষা ও সংস্কৃতিকে হুমকির মুখে ফেলছে। এর জেরে ‘আসাম আন্দোলন’ শুরু হয়, যা ছয় বছর ধরে চলে। আন্দোলনের চরম পরিণতি ঘটে ১৯৮৩ সালের নেলি হত্যাকাণ্ডে, যেখানে প্রায় ২,০০০ মানুষ নিহত হন, যাদের অধিকাংশই মুসলিম বাঙালি।

NRC এবং CAA
২০১৯ সালে আসামে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (NRC) হালনাগাদ করা হয়। এতে প্রায় ১৯ লাখ মানুষকে নাগরিকত্বের তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়, যাদের অনেকেই বাঙালি হিন্দু ও মুসলিম। একই সময়ে কেন্দ্র সরকার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) পাশ করে, যেখানে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আগত অমুসলিম শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রস্তাব ছিল। সমালোচকরা বলেন, এই নীতি মুসলিম বাঙালিদের প্রান্তিক করে তুলছে।

মূল ভূখণ্ডে মনোভাব
পশ্চিমবঙ্গের বাইরে বাঙালিদের প্রায়ই ‘Bangladeshi’ তকমা দেওয়া হয়—যা শুধু ভাষাগত বিভ্রান্তি নয়, বরং সামাজিক বৈষম্যের প্রতিফলন। দিল্লি, মুম্বাই বা বেঙ্গালুরুর মতো শহরে অভিবাসী বাঙালি শ্রমিকরা মাঝে মাঝে পুলিশি হয়রানি ও সামাজিক বঞ্চনার শিকার হন। এই মনোভাবের পেছনে রয়েছে অভিবাসন ভীতি, রাজনৈতিক মেরুকরণ, এবং সাংস্কৃতিক ভিন্নতার প্রতি অসহিষ্ণুতা।

উত্তর-পূর্ব ভারতে বৈষম্য ও নির্যাতন অভিযোগ

উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলো—বিশেষ করে আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা এবং মণিপুর—ঐতিহাসিকভাবে ভাষা ও জাতিগত পরিচয় নিয়ে সংবেদনশীল এলাকা। এখানে স্থানীয় জনগোষ্ঠী প্রায়ই অভিযোগ করে যে, বাঙালি ভাষাভাষীরা (বিশেষ করে বাংলাদেশ থেকে আগত অভিবাসীরা) স্থানীয়দের জমি, কাজ এবং সাংস্কৃতিক আধিপত্য কেড়ে নিচ্ছে।

শ্রমিকদের হয়রানি ও হামলা
বিগত কয়েক দশকে একাধিকবার দেখা গেছে, বাংলা ভাষাভাষী শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের হঠাৎ করে ‘অবৈধ অভিবাসী’ তকমা দিয়ে গণপিটুনি, বাড়িঘর পোড়ানো, কিংবা উচ্ছেদের মতো ঘটনা ঘটেছে। ২০২৪ সালের শেষ দিকে আসামের বিভিন্ন জেলায় অন্তত ৩৫০ জন বাঙালি মুসলিম শ্রমিককে পুলিশ আটক করে, যাদের অনেকেই বৈধ ভারতীয় নাগরিক বলে দাবি করেন।

‘ভাষাগত বিশুদ্ধতা’ বিতর্ক
অনেক উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও অফিসে বাংলা ভাষার ব্যবহার সীমিত বা নিরুৎসাহিত করার অভিযোগ রয়েছে। স্কুলের পাঠ্যপুস্তকে স্থানীয় ভাষার গুরুত্ব বাড়ানোর আড়ালে কখনও কখনও বাংলা বাদ দেওয়া হয়েছে। ভাষাবিদদের মতে, এই প্রবণতা কেবল বহুভাষিক সহাবস্থানের ক্ষতি করছে না, বরং বাঙালি পরিচয়ের প্রতি অবিশ্বাস গভীর করছে।

সামাজিক বর্জন
যে বাঙালিরা কয়েক প্রজন্ম ধরে উত্তর-পূর্ব ভারতে বসবাস করছেন, তারাও প্রায়ই ‘বিদেশি’ হিসেবে সন্দেহের মুখোমুখি হন। স্থানীয় রাজনীতিতে ‘Bangladeshi’ শব্দটি শুধু অবৈধ অভিবাসী নয়, বরং রাজনৈতিক বিরোধীদের ‘অন্য’ হিসেবে চিহ্নিত করার হাতিয়ার হয়ে উঠেছে।

ধর্মীয় সংখ্যালঘু ইস্যু: মুসলিম জনগোষ্ঠীর অবস্থান

ভারতে ধর্মীয় সংখ্যালঘু, বিশেষত মুসলিমরা, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে পড়েছেন—এমন অভিযোগ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা, জাতিসংঘের রিপোর্ট এবং দেশীয় পর্যবেক্ষণ থেকে উঠে এসেছে।

NRC-CAA প্রভাব
আসামের NRC প্রক্রিয়ায় বাদ পড়া ১৯ লাখ মানুষের একটি বড় অংশ মুসলিম বাঙালি। CAA-তে মুসলিম অভিবাসীদের জন্য কোনো সুরক্ষা না থাকায় তাঁদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সমালোচকদের মতে, এটি নাগরিকত্ব প্রক্রিয়ায় ধর্মীয় বিভাজন তৈরি করছে।

গণপিটুনি ও ঘৃণা অপরাধ
বিগত এক দশকে মুসলিম সম্প্রদায়ের উপর ‘গো-রক্ষা’ ও ‘লাভ জিহাদ’ ইস্যুতে একাধিক গণপিটুনি হয়েছে। যদিও এসব ঘটনা শুধু বাঙালিদের ক্ষেত্রেই নয়, তবে বাঙালি মুসলিমরা প্রায়ই দ্বিগুণ চাপের মুখে থাকেন—একদিকে ভাষাগত সংখ্যালঘু, অন্যদিকে ধর্মীয় সংখ্যালঘু।

রাজনৈতিক বক্তব্য ও প্রোপাগান্ডা
শাসকদল বিজেপি প্রায়ই রাজনৈতিক প্রচারে ‘অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ’ ইস্যুকে সামনে আনে। বিরোধীরা অভিযোগ করে, এই ভাষণগুলো প্রায়ই সব মুসলিম বাঙালিকে ‘অবৈধ’ বলে সন্দেহপ্রবণ করে তোলে এবং সামাজিক বিভাজন বাড়ায়।

রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া

পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেস
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্টভাবে বলেছেন, বাংলা ভাষা ভারতের সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃত একটি ভাষা এবং এর মর্যাদা হ্রাস করার চেষ্টা সহ্য করা হবে না। দিল্লি পুলিশের ‘বাংলাদেশি ভাষা’ ইস্যুতে তিনি সংসদে প্রতিবাদ তোলেন এবং রাস্তায় কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

বামপন্থী দলগুলো
সিপিআই(এম) এবং অন্যান্য বাম দলগুলো দীর্ঘদিন ধরে উত্তর-পূর্ব ভারতে শ্রমিক নির্যাতন ও নাগরিকপঞ্জি প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করছে। তাঁদের মতে, এটি কেবল অভিবাসী নয়, বহু প্রজন্ম ধরে বসবাসকারী বাঙালি জনগোষ্ঠীকেও টার্গেট করছে।

জাতীয় রাজনীতিতে প্রতিধ্বনি
বিরোধী জোট INDIA এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে সাংবিধানিক বৈষম্যের অভিযোগ তুলেছে। তাদের বক্তব্য, ভারতীয় নাগরিকদের ভাষা বা ধর্মের ভিত্তিতে ‘বিদেশি’ হিসেবে চিহ্নিত করা দেশের ঐক্যের জন্য ক্ষতিকর।

সমাজ ও সংস্কৃতিতে প্রভাব

সাংস্কৃতিক প্রতিবাদ
দিল্লি পুলিশ ইস্যুর পর থেকে কলকাতায় নাট্যদল, গায়ক, চিত্রপরিচালক—সবাই সাংস্কৃতিক মঞ্চে প্রতিবাদ জানান। দুর্গাপূজা ২০২৫-এ একাধিক প্যান্ডালে বাংলা গর্ব ও ভাষা রক্ষার থিম ব্যবহার হয়, যার মধ্যে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসের সঙ্গে বর্তমান ইস্যুর সংযোগ টানা হয়।

খেলাধুলায় বার্তা
মোহনবাগান সমর্থকেরা ফুটবল ম্যাচে বিশাল ব্যানার প্রদর্শন করে ‘Banglar bhasha, Banglar garbo’ স্লোগান তোলেন। এই ধরনের ভিজ্যুয়াল প্রতিবাদ সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাইরাল হয়।

সাহিত্য ও শিল্পে প্রতিক্রিয়া
বইমেলা ও সাহিত্যসভায় বক্তারা বলেন, ভাষাগত পরিচয় কেবল যোগাযোগের মাধ্যম নয়, বরং আত্মপরিচয়ের ভিত্তি। ‘বাংলাদেশি ভাষা’ বলাটা শুধু ভুল নয়, বরং সাংস্কৃতিক অস্তিত্বকে অস্বীকার করার সমান।

উপসংহার ও ভবিষ্যৎ

বাংলা ভাষা ও বাঙালি পরিচয়ের বিতর্ক নতুন কিছু নয়—এর শিকড় কয়েক দশকের সামাজিক ও রাজনৈতিক ইতিহাসে প্রোথিত। তবে দিল্লি পুলিশের নোটিশ থেকে শুরু করে উত্তর-পূর্ব ভারতের শ্রমিক হয়রানি পর্যন্ত সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো এই সমস্যার স্থায়িত্ব ও গভীরতা প্রমাণ করে।

একটি বহুভাষিক, বহুসাংস্কৃতিক রাষ্ট্র হিসেবে ভারতের শক্তি এর বৈচিত্র্যে। কিন্তু যখন ভাষা ও ধর্মের ভিত্তিতে মানুষকে ‘বিদেশি’ বা ‘অবৈধ’ হিসেবে দেখা হয়, তখন সেই ঐক্যের ভিত্তি নড়বড়ে হয়ে যায়। রাজনৈতিক দল, সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং নাগরিক সমাজ যদি মিলিতভাবে এই বিভাজনমূলক প্রবণতার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারে, তবে ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক সংখ্যালঘুদের জন্য একটি নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা সম্ভব।

বাংলা ভাষা শুধুমাত্র একটি রাষ্ট্রের পরিচয় নয়; এটি বিশ্বের পঞ্চম সর্বাধিক কথিত ভাষা, যার সাহিত্য, সংগীত ও সংস্কৃতি বৈশ্বিকভাবে সমৃদ্ধ। একে ‘বাংলাদেশি ভাষা’ বলে সীমাবদ্ধ করা শুধু তথ্যগত ভুল নয়, বরং একটি ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে সংকুচিত করার চেষ্টা। ভারতের মতো একটি গণতান্ত্রিক দেশে এই ধরনের মনোভাবের পরিবর্তন অপরিহার্য—যাতে প্রত্যেক ভাষা ও সংস্কৃতি সমান মর্যাদা পায়।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- বিজ্ঞাপন-
Codesk Ads

Most Popular

- বিজ্ঞাপন-
MK Groceries Ads

Recent Comments

- বিজ্ঞাপন-
Jetsbrick Ads