বৃহস্পতিবার, আগস্ট ২১, ২০২৫
- বিজ্ঞাপন-
Good News Global
Homeভূ-রাজনিতীরাশিয়ার অন্তরে ইউক্রেনের ড্রোন আঘাত: তেল শোধনাগারে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও সংঘর্ষ, তীব্রতায়...
Ads Space

রাশিয়ার অন্তরে ইউক্রেনের ড্রোন আঘাত: তেল শোধনাগারে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ও সংঘর্ষ, তীব্রতায় নতুন অধ্যায়!!

১০ আগস্ট রাত্রি, ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী রাশিয়ার সারাতভ অঞ্চলে অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ তেল শোধনাগারে ড্রোন হামলা চালায়। এই হামলার পর বিশাল এক বিস্ফোরণ ঘটে, যা অঞ্চলটিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ডেকে আনে। ইউক্রেনীয় সেনারা এই অভিযানকে রাশিয়ার অন্তর্দেশে পরিচালিত একটি নতুন ধরনের আক্রমণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন, যা এর আগে প্রধানত রুশ সীমান্তবর্তী দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চলে সীমাবদ্ধ ছিল।

সারাতভের গভর্নর এই হামলার পর এক ব্যক্তি নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন এবং কয়েকটি আবাসিক ভবন ও একটি শিল্প কারখানার ক্ষতি হওয়ার তথ্য দিয়েছেন। তবে তিনি তেল শোধনাগারের ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করেননি।

একই সময়, ইউক্রেনের সামরিক সূত্র থেকে জানা গেছে যে, সুমি অঞ্চলের বেজসালিভকা গ্রাম রুশ সেনাদের দখল থেকে মুক্ত হয়েছে। এই অভিযানে অন্তত ১৮ রুশ সৈন্য নিহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।

ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে চলমান এই যুদ্ধে প্রবেশ করেছে চতুর্থ বর্ষে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার উদ্যোগ নিয়েছেন। এই পদক্ষেপ ইউরোপীয় নেতাদের কাছ থেকে স্বাগত পাওয়ার পাশাপাশি যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনাকে আলোচনার কেন্দ্রে নিয়ে এসেছে।

অন্যদিকে, দক্ষিণ ইউক্রেনের ওডেসা অঞ্চলে নিষিদ্ধ একটি সৈকতে সাঁতার কাটার সময় অবিস্ফোরিত মাইন বিস্ফোরিত হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়। একই দিনে রাশিয়ার ড্রোন হামলায় খেরসন অঞ্চলের একটি বাস লক্ষ্যবস্তু হয়, এতে অন্তত দুজন নিহত এবং ১৬ জন আহত হন। হামলার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছানো পুলিশ সদস্যদের ওপরও ড্রোন আক্রমণ চালানো হয়, যার ফলে তিন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হন।

জাপোরিঝিয়া অঞ্চলেও রুশ হামলায় তিনজনের প্রাণহানি ঘটে। ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, শনিবার রাতে ছোঁড়া ৪৭টি রুশ ড্রোনের মধ্যে তারা ১৬টি ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে। বিপরীতে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে তারা ৯৭টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করেছে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি স্পষ্ট করে বলেছেন, কোনো ভূখণ্ড ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব তিনি গ্রহণ করবেন না। জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ট্রাম্পের কাছে যুদ্ধ শেষ করার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে, ট্রাম্প আবারও আলাস্কায় পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের পরিকল্পনা করছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন, দুই পক্ষ এমন একটি সমঝোতার পথে এগোচ্ছে যা সংঘাতের অবসান ঘটাতে পারে।

ইউরোপীয় নেতারা ট্রাম্পের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন, তবে একই সঙ্গে ইউক্রেনকে সমর্থন অব্যাহত রাখার এবং রাশিয়ার ওপর চাপ বৃদ্ধি করার আহ্বানও জানিয়েছেন। সম্প্রতি, ইউরোপীয় পক্ষ যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সঙ্গে বৈঠকে একটি পাল্টা শান্তি প্রস্তাব উপস্থাপন করেছে। ওই প্রস্তাবের শর্ত ছিল, যুদ্ধবিরতির আগে অন্য কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা যাবে না।

এই পরিস্থিতিতে, ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাত আরও জটিল আকার ধারন করেছে এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চেও রাজনৈতিক চাপ ও কূটনীতির পারদ চড়িয়ে দিয়েছে। যুদ্ধক্ষেত্রে প্রতিদিন নতুনভাবে সংঘর্ষ ও নানাবিধ ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠা এই অঞ্চলটি বিশ্ববাসীর নজর এড়ানো সম্ভব হচ্ছে না।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- বিজ্ঞাপন-
Codesk Ads

Most Popular

- বিজ্ঞাপন-
MK Groceries Ads

Recent Comments

- বিজ্ঞাপন-
Jetsbrick Ads