রাশিয়ায় পৌঁছেছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্টিভ উইটকফ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেন যুদ্ধবিরতির জন্য যে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন, তা শেষ হওয়ার মাত্র দুই দিন আগে বুধবার (৬ আগস্ট) মস্কোতে পা রাখেন তিনি।
২০২৫ সালের ২৫শে এপ্রিলের একটি পুরোনো ছবিতে দেখা যায়, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মস্কোতে এক বৈঠকে মার্কিন দূত স্টিভ উইটকফকে স্বাগত জানাচ্ছেন।
আগেই ট্রাম্প সতর্ক করেছিলেন, শুক্রবারের মধ্যে মস্কো যুদ্ধবিরতিতে সম্মত না হলে রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে।
রাশিয়ার বিনিয়োগ দূত ও সার্বভৌম সম্পদ তহবিলের প্রধান কিরিল দিমিত্রিভ উইটকফকে স্বাগত জানান। রুশ রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে দেখা গেছে, তারা ক্রেমলিন সংলগ্ন একটি পার্কে হাঁটতে হাঁটতে গভীর আলাপ করছেন।
ইস্তাম্বুলে রাশিয়া-ইউক্রেন সরাসরি শান্তি আলোচনার সময় এবং মার্কিন-রুশ কর্মকর্তাদের গোপন বৈঠকগুলোতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন দিমিত্রিভ।
উইটকফের সফরসূচি সম্পর্কে ওয়াশিংটনের একটি সূত্র জানিয়েছে, তিনি রুশ শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করবেন। ক্রেমলিনও জানিয়েছেন, পুতিনের সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হতে পারে, যদিও বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।
ইউক্রেন যুদ্ধবিরতির অগ্রগতি না হওয়ায় ট্রাম্প রাশিয়ার প্রতি ক্রমেই হতাশ হচ্ছেন এবং রাশিয়ান পণ্য আমদানিকারক দেশগুলোর ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন। বিশেষ করে ভারত, যেটি রাশিয়ার তেলের অন্যতম বড় ক্রেতা, চাপের মুখে পড়েছে।
রুশ দিক থেকে অবশ্য এমন শুল্কের হুমকিকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যনীতির পরিপন্থী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
রয়টার্সের বিশ্লেষণ বলছে, উইটকফের এই সফর মূলত উভয় পক্ষের জন্য মুখরক্ষার শেষ প্রচেষ্টা। তবে অস্ট্রিয়ান বিশ্লেষক গেরহার্ড ম্যাঙ্গট মনে করেন, বাস্তবসম্মত কোনো আপসের সম্ভাবনা নেই।
তার মতে, রাশিয়া হয়তো পুরনো অবস্থানেই অনড় থাকবে—যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি জানাবে, তবে শর্তগুলো হবে সেই পুরোনো দুই-তিন বছর আগের মতোই।
সবশেষে, ট্রাম্পের নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে কোনো চুক্তি হবে কি না, এবং সেই ব্যর্থতা বা সফলতার পর তিনি কী পদক্ষেপ নেবেন, তা নিয়েই এখন সব আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।