বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এর নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন জানিয়েছেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি), লালদিয়া এবং বে টার্মিনালসহ তিনটি গুরুত্বপূর্ণ টার্মিনাল বিদেশি অপারেটরদের হাতে হস্তান্তর করা হবে। এটি দেশের বৃহত্তম বন্দরটিকে আন্তর্জাতিক মানের পর্যায়ে উন্নীত করার লক্ষ্যে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
১০ আগস্ট রোববার চট্টগ্রাম বন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “বর্তমানে আন্তর্জাতিক টেন্ডার প্রক্রিয়া প্রায় সমাপ্ত পর্যায়ে রয়েছে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ আমরা এই তিনটি টার্মিনাল প্রথম অপারেটরদের হাতে তুলে দেবো। এর ফলে বন্দরের আধুনিকায়ন ও পরিচালনায় নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।”
তিনি আরও জানান, বন্দরের ৪ নম্বর ফটকে নতুন এজেন্ট ডেস্ক উদ্বোধন এবং সিপিআর ফটকে ভেহিকল ও কনটেইনারের ডিজিটাল ডাটা এক্সচেঞ্জ সিস্টেমের উদ্বোধন করা হয়েছে, যা বন্দরের কার্যক্রমকে আরো স্বচ্ছ এবং দক্ষ করে তুলবে। এই পদক্ষেপগুলোর মাধ্যমে বন্দরের দুর্নীতি ও হয়রানির প্রবণতা কমানোর লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।
বিডা চেয়ারম্যান বলেন, “চট্টগ্রাম বন্দরের গ্লোবাল র্যাংকিংয়ে উন্নতি করার জন্য সেরা অপারেটরদের নিয়ে আসা প্রয়োজন। আমাদের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের বন্দরের সক্ষমতা চার থেকে পাঁচ গুণ বৃদ্ধি করা।” তিনি জানান, এর জন্য বন্দরে নানা অবকাঠামোগত সংস্কার কাজও দ্রুত এগিয়ে চলছে।
এক প্রশ্নের জবাবে আশিক মাহমুদ উল্লেখ করেন, বিদেশি অপারেটর ‘আরএসজিটি’ (রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল) এর বাংলাদেশে কাজ করার অভিজ্ঞতা ততটা সুখকর হয়নি। “তাদের অন্য দেশে অপারেটিং করার অভিজ্ঞতা থাকলেও বাংলাদেশে সরকারের সঙ্গে সরাসরি কাজ করার অভিজ্ঞতা ছিল না, যা নানা জটিলতা তৈরি করেছে।”
বন্দর উন্নয়নে এই রূপান্তরমূলক পরিবর্তনগুলো দেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। এছাড়া, দ্রুত সময়ের মধ্যে বড় বন্দরের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো সম্পন্ন করতে বিভিন্ন চুক্তি স্বাক্ষর করার পরিকল্পনা নিয়েও তিনি কথা বলেন।
এই সময় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামানসহ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।